নাস্তিকদের প্রগতিশীলতা ও ইসলাম বিদ্বেষ /Athfal kontho.xyz

(১)الْحَمْدُ لِأَهْلِه وَالصَّلوةُ لِاَهْلِهَا أَمَّا بَعْدُ فَاَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ. ادْخُلُوْا فِي السِّلْمِ كَافَّةً وَلاَ تَتَّبِعُوْا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِيْنٌ- وجاء في الحديث قال رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ بَدَّلَ دِيْنَهُ فَاقْتُلُوْهُ. বাংলার আলেম কুল শিরমনি হযরত মাওলানা কাজী আহমদ আলী রহ:এর হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান আলজামিয়াতুল ইসলামিয়া জান্নাতুল আতফালের সাহিত্য পরিষদের উদ্যাগে আয়োজিত আজকের এই বর্ণাঢ্য বার্ষিক প্রতিযোগিতা সেমিনারের সম্মানিত সভাপতি ন্যায়ের আসনে অধিষ্টিতি বিজ্ঞ বিচারক মন্ডলী আমার সামনে উপবিষ্ট সবুজ বাংলার দূর-দূরান্ত হতে আগত মাদারে ইলমি দারুল উলুম দেওবন্দের উত্তরসূরী ছাত্রবন্ধুগণও মাথার তাজ তল্য সম্মানিত আসাতিছায়ে কেরাম সবাইকে জানাই আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ। আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি যারা এই বক্তৃতা প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করেছেন মহান আল্লাহ তাদের উত্তম প্রতিদান দান করুন মুহতারাম হাজেরিন: আজকে আমার বক্তৃতার আলোচ্য বিষয় হলো নাস্তিকদের প্রগতিশীলতা ও ইসলাম বিদ্বেষ সম্মানিত উপস্থিতি নির্ধারিত বিষয়বস্তু সম্পর্কে আমি চারটি পয়েন্টে ষাঁড়গর্ভ ও গবেষণামূলক আলোচনা পেশ করব ইনশাআল্লাহ ১|প্রথমত: নাস্তিক কাদেরকে বলে নাস্তিকতার কারণকি? ২|দ্বিতীয়ত:নাস্তিকদের প্রগতিশিলতাও ইসলামবিদ্বেষ ৩|তৃতীয়ত: নাস্তিকদের সম্পর্কে ইসলামের বিধান কি? ৪|চতুর্থত: আমাদের বাস্তব অনুভূতি ও করণীয় কি? মুহতারাম হাজিরিন: প্রথমে আসুন জেনে নিই নাস্তিক কাদের কে বলে ও নাস্তিকতার কারণ সমূহ কি? নাস্তিক বলা হয় যারা আল্লাহ তা'আলা ও পরকালের অস্তিত্বকে অস্বীকার করে বর্তমানে নাস্তিকতার প্রবণতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এর পেছনে নানা কারণ লুকিয়ে আছে ১|কোরআন হাদিস বুঝতে ভুল করা ২| ধর্মীয় বিষয়ে অজ্ঞতা ৩|প্রগতিশীলতা ও অতি আধুনিকতা ৪|প্রোপাগান্ডা আক্রান্ত হওয়ার ৫|খ্যাতি অর্জনের লোভ ৬| অতিমাত্রায় যুক্তিবাদী হওয়া (২)এবার আসুন আলোচনা করা যাক নাস্তিকদের প্রগতিশিলতা ও ইসলাম বিদ্বেষ সম্পর্কে নাস্তিকরা নিজেদেরকে প্রগতিশীল দাবি করে উন্নতি ও প্রবর্তনের নামে বাক স্বাধীনতা, নারী স্বাধীনতা ,পোশাকের স্বাধীনতা মুক্তচিন্তার প্রবক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে। যারা মূলত বাক স্বাধীনতা নামে ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলে' পোশাকের স্বাধিনতা বলে পর্দাহিনতা কথা বলে' মুক্ত চিন্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নামে নাস্তিকতাকে প্রচার প্রসারে আত্ননিয়োজিত। বর্তমান প্রেক্ষাপটে ইসলামী ভাবধারা থেকে যে যত বেশি বিচ্ছিন্ন হতে পারবে সে ততো বেশি সেকুলার ও প্রগতিশীল। প্রগতশীল সেকুলারদের ভন্ডামী সম্পর্কে মানুষ এখন যথেষ্ট ওয়াকিফ হাল সাধারণ মানুষ খুব ভালো করেই জানে যে ইসলাম কোপানোর নামোই আজ প্রগতিশীলতা। মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়ানোর নামই যেন সেকুলারিটি ও নাস্তিকতা ।তারা মুক্ত চিন্তায় জড়িয়ে খেয়াল খুশি মত যা ইচ্ছা বলার দ্বারা, লিখার দ্বারা সমাজের উন্নতির বদলে ক্ষতি'পরিবর্তনের বদলে মতবিরুধকে উষ্কে দিচ্ছে। যা কোন সমাজ বা রাষ্ট্রের জাতি বা গোষ্ঠীর, ধর্মের, বর্ণের, লিঙ্গের প্রতি বিদ্বেষ, ঘৃণা, বিশৃংক্ষলতা ও বৈষম্য ছড়ায়। এভাবে তারা সমাজের বৃহৎ জনগোষ্টিকে অকল্যানের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আমাদের দেশে মৌলবাদের উত্থান হচ্ছে বলে একদল প্রগতিশীল নাস্তিক ভীতসন্তষ্ট ওশংকিত তাই তারা ইসলামবিদ্বেষ ছড়াচ্ছে তারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কে মরুভূমির ডাকাত বলছে নাউজুবিল্লাহ মিন জালিক মা আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহাকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করছে, তারা হজ ও হজরে আসওয়াদ ও জান্নাতের নেয়ামতকে নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ করছে। একের পর এক ইসলামের বিধিবিধান নিয়ে অবান্তর কথা বলে কুকুরের মত গেও গেও করছে ,এতে ইসলামের কোন ক্ষতি হবেনা বরং তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এজন্য কবি বলেন فلوم الخفاش لا يضر الشمس وعواء الكلب لا يظلم البدر চামচিকার নিন্দাবাদ সূর্যের কোনো ক্ষতি করতে পারেনা আর কুকুরের ঘেউ ঘেউ পূর্ণিমার রাত্রিকে অন্ধকার করতে পারেনা (৩)হে নাস্তিকের দল তোরা রাসূল সাল্লাহু সাল্লামের চরিত্র নিয়ে কথা বলিস তোদের চরিত্র তো পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট কারণ সমকামিতা (অর্থাৎ পুরুষে পুরুষে বিবাহ ও নারী নারীকে বিবাহ) ও বলাৎকার করা তোদের চরিত্র যে সমকামিতার কারণে আল্লাহ তাআলা কওমে লুৎ কে অভিসম্পাত করেছেন এবং তাদেরকে আসমানে উঠিয়ে পাথর ও আগুন বৃষ্টি দ্বারা সমূলে ধ্বংস করে দিয়েছেন আর এই বিকৃত কাজ বাস্তবায়ন করা তো তোদের এজেন্ডা এজন্যই আল্লাহতালা পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেছেন اولئك كالانعام بل هم اضل اولئك هم الغافلون তারা পশু তুল্য বরং পশুর চেয়ে অধম বস্তুত তারা গাফেল সম্প্রদায় মহান রব্বুল আলামীন তাদেরকে পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট বলেছেন ।কারণ কোন পশুই তাদের জৈবিক চাহিদা পূরণের জন্য পুরুষ পুরুষকে নারী নারী পশুকে বেছে নেয় না ,আর তোদের এই নোংরা কাজ যেখানেই সংঘটিত হচ্ছে সব তোদেরই চরিত্রের ফসল সুতরাং এর দায়ভার তোদেরকে গ্রহণ করতে হবে। ইসলামে এসকল কাজ হারাম ও জঘন্যতম অপরাধ কোন মুসলমান এই জঘন্যতম কাজ করতে পারেনা যদি করে থাকে ,তাহলে তোদের বেয়াদব নাস্তিকদের প্ররোচনার কারণেই হচ্ছে। আল্লাহ সকলকে এ নিকৃষ্ট কাজ থেকে হেফাজত করুন। আমিন, হে নর্দমার কীট নাস্তিকেরা:তোমাদের কে স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই তোমরা ইসলাম বিদ্বেষ পোষণ করে ইসলামের সামান্যতম ও ক্ষতি করতে পারবেনা।বরং তোমরা নিজেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে যেমনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল তোমাদের মত ইসলামবিদ্বেষী নমরুদ, ফেরাউন,হামান কারুন, আবু জাহেল, আবু লাহাব,উতবা ,শাইবার মত জাহান্নামের কিটরা।তারা কি আল্লাহর আযাব থেকে রক্ষা পেয়েছিল? যুক্তি দিয়ে কি মুক্তি পেয়েছিল। নমরুদ তো একটি ল্যাংড়া মশার আক্রমণে ধ্বংস হয়েছে আর ফেরাউন ধ্বংস হয়েছে নীল নদে ডুবে আর খোদাদ্রোহী কারুনকে তার সম্পদ সহ জমিনে পুতে দেওয়া হয়েছে হে নাস্তিকরা তোমরা ভালোভাবে জেনে রাখ আল্লাহ তাআলা ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেন না। অতএব এখনো সময় আছে তোমরা আল্লাহর আজাব থেকে বাঁচতে চাইলে সত্যের পথে ফিরে আস তোমরা ইসলামের বিরোধিতা করতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের যুক্তি দেখাও এবং বলো যে স্রষ্টা বলতে কেউ নেই কারণ আমরা তাকে দেখতে পাই না অথচ পৃথিবীতে উল্লেখযোগ্য যত ধর্ম রয়েছে সকলেই স্রষ্টার অস্তিতে বিশ্বাসী (৪)আরে নাদান ও মূর্খের দল জাহেলেমুরাক্কাব তোমরা তো অনেক কিছু না দেখে ও বিশ্বাস করো তোমরা কি ব্যথা পেলে দেখতে পাও ?, তোমাদের জ্ঞান বুদ্ধি দেখতে পাও? কারেন দেখতে পাও? অবশ্যই দেখতে পাওনা তেমনি ভাবে আল্লাহতালাকেও দেখা যায় না তাকে অনুভব করতে হয় এবং না দেখে বিশ্বাস করতে হয়। আল্লাহ তায়ালা আদম আলাই সাল্লাম কে সৃষ্টি করার পর সকল ফেরেশতাদেরকে বলেছিলেন আদমকে সিজদা করতে সকল ফেরেশতারা আদমকে সেজদা করলো কিন্তু ইবলিশ শয়তান আদম আ: কে সেজদা করলো না সে অহংকারবশত যুক্তি পেশ করলো আমাকে সৃষ্টি করেছ আগুন থেকে আর আদমকে সৃষ্টি করেছ মাটি থেকে আগুন উপরের দিকে থাকে আর মাটি নিচের দিকে থাকে সুতরাং আমার দ্বারা আদমকে সৃষ্টি করা কস্মিনকালেও সম্ভব নয় এ যুক্তির ফলে আল্লাহতালা শয়তানকে বেহেশত থেকে বের করে দিলেন এবং বললেন তুমি আজ থেকে বিতাড়িত অভিশপ্ত কেয়ামত পর্যন্ত তোমার উপর লাঞ্ছনা অভিশাপ বর্ষিত হবে পেয়ারে হাজিরিন: যুক্তির ফলে শয়তান আল্লাহর রহমত থেকে বিতাড়িত হলো লানত প্রাপ্ত হলো ইসলাম যুক্তিতে চলেনা ইসলাম চলে আল্লাহ ও রাসূলের নির্দেশমতে যারা ইসলামের বিষয়ে যুক্তি দেখায় নাস্তিকতা প্রদর্শন করে তারা শয়তানের চেয়েও নিকৃষ্ট কারণ শয়তান আল্লাহকে স্বীকার করে আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করেছিল আর নাস্তিকরা আল্লাহকে অস্বীকার করে তার নির্দেশ অমান্য করছে মুহতারাম হাজিরিন: তারা আল্লাহকে দেখতে চায় অথচ আল্লাহ তাআলা কে এ দুনিয়াতে চর্ম চোখ দ্বারা দেখা সম্ভব নয় মুসা (আঃ) যখন আল্লাহকে দেখতে চেয়েছিলেন এবং বলেছিলেন ربي ارني انظر اليك قال لن تراني الى اخر الايه ۚ (৫)হে আমার প্রভু তোমার দিদার আমাকে দাও। যেন আমি তোমাকে দেখতে পাই তিনি বললেন তুমি আমাকে কষ্মিনকালেও দেখতে পাবেনা তবে তুমি পাহাড়ের দিকে দেখতে থাকো সেটি যদি স্বস্হানে দাঁড়িয়ে থাকে তবে তুমি আমাকে দেখতে পাবে তারপর যখন তার পরুয়ার দিগার আপন জ্যোতির কিরণ পাহাড়ের উপর গটালেন সেটিকে বিধস্ত করে দিলেন এবং মূসা অজ্ঞান হয়ে পরে গেলেন অতপর যখন তার জ্ঞান ফিরে এল তখন বললেন হে প্রভূ তোমার স্বত্বা প্রবিত্র তোমার আমি তওবা করছি আমি তোমার প্রতি সর্ব প্রথম বিশ্বাস স্হাপন করছি। মোহতারাম হাজেরিন: হযরত মূসাই যখন এ উত্তর পেয়েছিলেন, তখন অন্য কোন জিন ও মানুষের সাধ্য কি ! তবে পরকালে মুমিনরা আল্লাহ্ তাআলার সাক্ষাৎ লাভ করবে। একথা সহীহ্ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। নাস্তিকরা বলে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ও পৃথিবী এমনিতেই সৃষ্টি হয়ে গেছে তার কোন সৃষ্টিকর্তা নেই একটি ঘটনা মনে পড়ে গেল তারা তো ওই নির্বোধ জামাইয়ের মত যে বিয়ে করেছে কিন্তু শ্বশুরের সাথে কথা বলে নাই, তার চিন্তা হল বউটা এমনিতে তৈরি হয়ে গেছে, কিন্তু শ্বশুর বেচারা তার এই আচরণ আদৌ সহ্য করতে পারছেন না শশুর ছেলের বাবার কাছে দুঃখ প্রকাশ করলেন, বাবা তার নির্বোধ ছেলেকে বলল ব্যাটা তুমি যে স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছ সে তো এমনিতে দুনিয়াতে আসেনি ?তার তো একজন বাবা আছে যিনি তোমার শশুর হয়। ছেলে বাবার সাথে অঙ্গীকার করে বলল ঠিক আছে এবার গিয়ে শশুর নামের লোকটির সাথে অবশ্যই কথা বলব শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে শশুরকে সালাম জানালো শ্বশুর মহা খুশি হয়ে সালামের জবাব দিলেন । এবং কৌশল বিনিময় করলেন নির্বোধ জামাই শশুরকে একটি প্রশ্ন করে বসলো আচ্ছা আপনি বিয়ে করেছেন? এ প্রশ্ন শুনে শ্বশুর যেন আকাশ থেকে ভেঙে পড়লেন, একি বলছে জামাই? শশুর তার জবাব দিলেন না তাকে পাল্টা একটি প্রশ্ন করে বসলেন আরে বেটা আমি বিয়ে না করলে তোমার বউ আসলো কোথা থেকে? এতক্ষণে নির্বোধ জামাইয়ের মাথায় একটু শুভ বুদ্ধির উদয় হল শশুরকে লক্ষ্য করে বলে দিল ও বুঝতে পেরেছি আপনি বিয়ে করে আমাকে দিয়ে দিয়েছেন? শশুর লোকটির চোখের পানি ফেলে বললেন তোমার সাথে আমার কথা না বলাই উচিত ছিল এমনিভাবে নির্বোধ নাস্তিকদের কথার জবাব না দেয়াই উত্তম কারণ আল্লাহ তাআলার অস্তিত্বে যাদের ঈমান নেই তারা এই নির্বোধ জামাইয়ের চেয়েও বেশি অধম। মুহতারাম হাজেরিন: এবার আসুন জেনে নেই নাস্তিকদের সম্পর্কে ইসলামের বিধান কি? (৬)নাস্তিক দুই প্রকার প্রথমত যারা ইসলাম ধর্ম থেকে নাস্তিক হয়েছে দ্বিতীয়তঃ যারা অন্য ধর্ম থেকে নাস্তিক হয়েছে যারা ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে নাস্তিক হয় তাদেরকে ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় মুরতাদ বলা হয় । মুরতাদদের সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে আল্লাহপাক এরশাদ করেছেন:- ومن يرتد منكم عن دينه فيموت وهو كافر فاولئك حبطت اعمالهم في الدنيا والاخره واولئك اصحاب النار هم فيها خالدون মুসলমানদের মধ্যে হতে যারা মুরতাদ হবে এবং কুফল অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে তাদের সমুদয় আমল বিনষ্ট হয়ে যাবে দুনিয়ার দিক দিয়েও আর পরকালের দিক দিয়েও এবং তারা হবে জাহান্নামী চিরকাল তারা সেখানেই থাকবে । এ সকল মুরতাদদের ব্যাপারে রাসুল সাঃ বলেছেন :- من بدل دينه فاقتلوا যারা ধর্ম ত্যাগ করে তাদেরকে হত্যা করো ; যারা রাসূল সাল্লাহু সালাম কে গালি দেয় তাদের ব্যাপারে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন من سب نبيا فاقتلوه যারা নবীকে গালি দেয় তাদেরকে হত্যা করো। যারা কোরআন অবমাননা করছে রাসুল সালাম কে নিয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করছে তারা প্রকারান্তরে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সঙ্গে যুদ্ধ করছে ,মানুষের বিশ্বাসের এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানলে ঈমানদারদের নীরব থাকবার কথা নয় সে ক্ষেত্রে যুদ্ধ করা অপরিহার্য অবশ্য তা হতে হবে দেশের প্রধানের অধীনে কিন্তু প্রতিবাদের যুদ্ধ অবশ্যই করতে হবে। এবার আসুন আলোচনা করা যাক আমাদের বাস্তব অনুভূতি ও করনীয় সম্পর্কে :-বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে কিছু নাস্তিক মুরতাদ আমাদের ধর্মগ্রন্থ কোরআন এর অবমাননা করে এবং আমাদের আদর্শ হৃদয়ের স্পন্দন মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কে নিয়ে বিভিন্ন কটুক্তি ও ব্যঙ্গচিত্র করে মুসলমানদের হৃদয়ে আঘাত করছে তাই আমরা মুসলমান হিসাবে এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং আমাদের দেশের সরকার প্রধানের কাছে অনুরোধ করছি এই সকল নাস্তিক মুরতাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক এবং সংসদে ধর্ম অবমাননার আইন পাস করা হোক যাতে করে ভবিষ্যতে কোন নাস্তিক মুরতাদ ও ইসলামবিদ্বেষী রাসূল সাঃ এবং ইসলামকে নিয়ে কোন কটুক্তি না করতে পারে । পরিশেষে আমি সাধারণ মুসলমান ভাই-বোনদেরকে উদ্দেশ্য করে বলতে চাই আপনারা এই সকল নাস্তিক মুরতাদদের মিষ্টি মিষ্টি কথায় এবং ভিত্তিহীন যুক্তিতে বিভ্রান্ত না হয়ে তাদের থেকে দূরে থাকুন তাদের ইউটিউব, ফেসবুক চ্যানেল দেখা ও শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন এবং নিজের ঈমানকে হেফাজত করুন এবং সর্বদাই তাদেরকে বয়কট করুন আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে এ সকল ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক মুরতাদদের কবল থেকে হেফাজত করুন এবং নিজের ঈমানকে ঠিক রাখার তৌফিক দান করুন আমীন। এ বলেই আমার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষ করছি. وقل جاء الحق وذهق الباطل ان الباطل كان زهوقا

কোন মন্তব্য নেই

sndr থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.