চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের নিকট রোজার উপকারিতা atfalkontho.xyz
চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের নিকট রোজার উপকারিতা কি? আসুন জেনে নিই।
• শরীর থেকে টক্সিন নির্গত হয়
• পুষ্টি শোষণ শুরু হয়
• কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করে
• মস্তিষ্ক দ্রুত কাজ করতে শুরু করে
• ওজন হ্রাস এবং চর্বি গলতে শুরু করে
শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ নির্গমনঃ
• পুষ্টি শোষণ শুরু হয়
• কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করে
• মস্তিষ্ক দ্রুত কাজ করতে শুরু করে
• ওজন হ্রাস এবং চর্বি গলতে শুরু করে
শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ নির্গমনঃ
এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, ইউরোপের ঘরে ঘরে ইদানীং রোজা পালন করার হিড়িক পড়েছে। সবার মুখে এক কথা- শরীরটাকে ভালো রাখতে চাও তো রোজা করো। এ ধরনের চেতনা সৃষ্টির পিছনে সত্তর দশকে প্রকাশিত একটি বই বিশেষত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বইটি হচ্ছে প্রখ্যাত জার্মান চিকিৎসাবিদ ড. হেলমুট লুজানার-এর The Secret of Successful Fasting অর্থাৎ উপবাসের গোপন রহস্য। বইটিতে মানুষের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রতঙ্গের গঠন ও কার্যপ্রণালি বিশ্লেষণ করে নীরোগ, দীর্ঘজীবী ও কর্মক্ষম স্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হলে বছরের কতিপয় দিন উপবাসের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ড. লুটজানারের মতে, খাবারের উপাদান থেকে সারাবছর ধরে মানুষের শরীরে জমে থাকা কতিপয় বিষাক্ত পদার্থ (টকসিন), চর্বি ও আবর্জনা থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র সহজ ও স্বাভাবিক উপায় হচ্ছে উপবাস। উপবাসের ফলে শরীরের অভ্যন্তরে দহনের সৃষ্টি হয় এবং এর ফলে শরীরের ভিতর জমে থাকা বিষাক্ত পদার্থসমূহ দগ্ধীভূত হয়ে যায়।
পুষ্টির শোষণ:
উপবাসের মাধ্যমে, যখন একজন ব্যক্তি 10 থেকে 12 ঘন্টার জন্য অনাহারে থাকে, তখন তার সারা বছরব্যাপী ব্যস্ত পরিপাকতন্ত্র একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিরতি পায়। রক্তে শ্বেতকণিকার কার্যক্ষমতা ও শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে থাকে। অনিয়মিত পদার্থ নিঃসৃত হতে শুরু করে, পরিপাকতন্ত্র আগের চেয়ে ভালোভাবে কাজ করতে শুরু করে এবং এভাবে শরীরে পুষ্টির আত্তীকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং এগুলো শরীরে আগের চেয়ে বেশি শক্তি যোগাতে শুরু করে।
ওজন কমানো এবং চর্বি গলে যাওয়া:
আপনি যদি রমজানে আপনার খাদ্যাভ্যাস সংযত করেন এবং ভারী খাবার যেমন পরোঠা, পাকোড়া বা অন্যান্য অনুরূপ খাবার পরিহার করেন, তাহলে এই রমজানে আপনি সহজেই ওজন কমাতে পারবেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই।আপনি আপনার ওজন কমাতে পারেন। আমরা আপনাদের বলেছি যে রমজানে রোজা রাখলে মানবদেহে অতিরিক্ত চর্বি কণা গলে যেতে থাকে এবং এই চর্বি শরীরের শক্তির উৎস হয়ে ওঠে। এভাবে চর্বি গলিয়ে আপনার ওজনও কমে যায় এবং শরীরে কোনো ধরনের দুর্বলতা বা ক্লান্তি অনুভূত হয় না
কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস:
রমজানের রোজা শুধু ওজন কমাতেই সাহায্য করে না, অন্যদিকে, শরীরের অন্যান্য ইতিবাচক পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস। এটি আপনাকে উদ্যমী এবং মানসিকভাবে চটপটে এবং হালকা বোধ করে। কারণ এখন আপনার শরীর আত্মরক্ষার জন্য আরও সক্রিয় এবং শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের কার্ডিওলজিস্টদের একটি দল একটি সমীক্ষা থেকে উপসংহারে পৌঁছেছে যে রমজানে যারা রোজা রাখে তারা চর্বি গঠন হ্রাস করে, যার ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কম হয়। যা হার্ট অ্যাটাক ও অন্যান্য হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমায়।
মানসিক সক্ষমতা ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি:
রোজার মাসে উপবাস ও ইবাদত-বন্দেগি একদিকে যেমন আপনার আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে, অন্যদিকে আপনার শরীরে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসে। এসব ছাড়াও আপনার মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ও ক্ষমতা খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পরিচালিত একটি গবেষণা অনুসারে, যখন একজন ব্যক্তি উপবাসের সময় ক্ষুধার্ত থাকে, তখন তার শরীরে এমন কোষ তৈরি হয় যা বিশেষ করে একজন ব্যক্তির মানসিক কর্মক্ষমতার সাথে সম্পর্কিত, তাই এই নবগঠিত কোষগুলি সরাসরি তার মস্তিষ্কে পৌঁছায় এবং মানসিক কর্মক্ষমতা বাড়ায়। একজন ব্যক্তির অনেকবার স্ট্রেস হ্রাস করে এবং এইভাবে আপনি মানসিকভাবে সতর্ক এবং হালকা বোধ করেন।
ওজন কমানো এবং চর্বি গলে যাওয়া:
আপনি যদি রমজানে আপনার খাদ্যাভ্যাস সংযত করেন এবং ভারী খাবার যেমন পরোঠা, পাকোড়া বা অন্যান্য অনুরূপ খাবার পরিহার করেন, তাহলে এই রমজানে আপনি সহজেই ওজন কমাতে পারবেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই।আপনি আপনার ওজন কমাতে পারেন। আমরা আপনাদের বলেছি যে রমজানে রোজা রাখলে মানবদেহে অতিরিক্ত চর্বি কণা গলে যেতে থাকে এবং এই চর্বি শরীরের শক্তির উৎস হয়ে ওঠে। এভাবে চর্বি গলিয়ে আপনার ওজনও কমে যায় এবং শরীরে কোনো ধরনের দুর্বলতা বা ক্লান্তি অনুভূত হয় না
কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস:
রমজানের রোজা শুধু ওজন কমাতেই সাহায্য করে না, অন্যদিকে, শরীরের অন্যান্য ইতিবাচক পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস। এটি আপনাকে উদ্যমী এবং মানসিকভাবে চটপটে এবং হালকা বোধ করে। কারণ এখন আপনার শরীর আত্মরক্ষার জন্য আরও সক্রিয় এবং শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের কার্ডিওলজিস্টদের একটি দল একটি সমীক্ষা থেকে উপসংহারে পৌঁছেছে যে রমজানে যারা রোজা রাখে তারা চর্বি গঠন হ্রাস করে, যার ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কম হয়। যা হার্ট অ্যাটাক ও অন্যান্য হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমায়।
মানসিক সক্ষমতা ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি:
রোজার মাসে উপবাস ও ইবাদত-বন্দেগি একদিকে যেমন আপনার আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে, অন্যদিকে আপনার শরীরে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসে। এসব ছাড়াও আপনার মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ও ক্ষমতা খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পরিচালিত একটি গবেষণা অনুসারে, যখন একজন ব্যক্তি উপবাসের সময় ক্ষুধার্ত থাকে, তখন তার শরীরে এমন কোষ তৈরি হয় যা বিশেষ করে একজন ব্যক্তির মানসিক কর্মক্ষমতার সাথে সম্পর্কিত, তাই এই নবগঠিত কোষগুলি সরাসরি তার মস্তিষ্কে পৌঁছায় এবং মানসিক কর্মক্ষমতা বাড়ায়। একজন ব্যক্তির অনেকবার স্ট্রেস হ্রাস করে এবং এইভাবে আপনি মানসিকভাবে সতর্ক এবং হালকা বোধ করেন।
ডক্টর ডিউই বলেছেন, “রোগজীর্ণ এবং রোগক্লিষ্ট মানুষটির
পাকস্থলী হতে খাদ্যদ্রব্য সরিয়ে ফেল, দেখবে রুগ্ণ
মানুষটি উপবাস থাকছে না, সত্যিকাররূপে উপবাস
থাকছে রোগটি।” তাই একাদশ শতাব্দীর বিখ্যাত মুসলিম
চিকিৎসাবিজ্ঞানী ইবনে সিনা
তার রোগীদের তিন সপ্তাহের জন্য উপবাস পালনের বিধান দিতেন।
রমজান মাসে অন্য মাসের তুলনায় কম খাওয়া হয় এবং এই কম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের মতে, দীর্ঘজীবন লাভের জন্যে খাওয়ার প্রয়োজন বেশি নয়। কম ও পরিমিত খাওয়াই দীর্ঘজীবন লাভের চাবিকাঠি। বছরে একমাস রোজা রাখার ফলে শরীরের অনেক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বিশ্রাম ঘটে। এটি অনেকটা শিল্প-কারখানায় মেশিনকে সময়মতো বিশ্রাম দেওয়ার মতো। এতে মেশিনের আয়ুষ্কাল বাড়ে। মানবদেহের যন্ত্রপাতিরও এভাবে আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি পায়।
ডা. আলেক্স হেইগ বলেছেন, “রোজা হতে মানুষের মানসিক শক্তি এবং বিশেষ বিশেষ অনুভূতিগুলো উপকৃত
স্বণশক্তি বাড়ে, মনোসংযোগ ও যুক্তিশক্তি চ হয়। প্রীতি, ভালোবাসা, সহানুভূতি, অতীন্দ্রিয় এবং আধ্যাত্মিক শক্তির উন্মেষ ঘটে। ঘ্রাণশক্তি, দৃষ্টিশক্তি, তাই আমাদের সকলের উচিত এই পবিত্র মাসে সব গুলো রোজা রাখা রোজার সকল নিয়ম মেনে তা পালন করা।
কোন মন্তব্য নেই